পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে ঋণ সংকট

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে ঋণ সংকট

পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে ঋণ সংকট: উদ্বেগ আর সমাধানের পথ

পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (কেএমএস) খাতের অবদান অপরিসীম। এই খাতে লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান এবং রাজ্যের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অংশের অবদান রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে এই গুরুত্বপূর্ণ খাত ঋণ সংকটের মুখে পড়েছে, যা উদ্বেগজনক অবস্থা সৃষ্টি করেছে। আসুন, এই ঋণ সংকটের কারণ, পরিণাম এবং সমাধানের পথ বিশ্লেষণ করি।

ঋণ সংকটের কারণসমূহ:

  • কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব: মহামারীর কারণে বাজার মন্দা চেপে কেএমএস ইউনিটগুলোর উৎপাদন ও বিক্রি কমে যায়। ফলে আয় কমে গিয়ে ঋণ পরিশোধে সমস্যা দেখা দেয়।
  • বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা: ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্বজুদ্ধে মন্দার আশঙ্কা কারণে ব্যাংকগুলি ঋণ দেওয়ায় সতর্ক। বিশেষ করে কেএমএস খাতে আগের অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে ঋণ প্রদানে আরও কড়াকড়ি আনছে।
  • উচ্চ সুদহার: ব্যাংকগুলির উচ্চ সুদহার কারণে ঋণ গ্রহণ করে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ছোট ইউনিটগুলো উচ্চ সুদ বহন করতে পারছে না।
  • কাঠামোগত দুর্বলতা: ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও ঋণ বিতরণ পদ্ধতিতে বিদ্যমান কিছু কাঠামোগত দুর্বলতা কেএমএস খাতে ঋণের সহজলভ্যতা কমিয়ে দিয়েছে।
  • অনিশ্চিত বাজার অবস্থা: বিশ্ববাজারের অস্থিরতা ও ভারতীয় অর্থনীতির কিছু চ্যালেঞ্জের কারণে কেএমএস পণ্যের চাহিদা কমে যাচ্ছে। ফলে উৎপাদন ও বিক্রি সংকোচন হচ্ছে।

ঋণ সংকটের পরিণাম:

  • বেকারত্ব বৃদ্ধি: ঋণ না পাওয়া গেলে অনেক কেএমএস ইউনিট উৎপাদন কমাতে বা বন্ধ করতে বাধ্য হবে। ফলে লক্ষ লক্ষ কর্মী বেকার হয়ে পড়তে পারে।
  • জাতীয় আয় কমে যাওয়া: কেএমএস খাতের অবদান কমে গেলে পশ্চিমবঙ্গের জাতীয় আয় কমে যাবে। রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে।
  • ঋণ খেলাপি সমস্যা বৃদ্ধি: ঋণ পরিশোধে অসমর্থ হলে ব্যাংকগুলোর ঋণ খেলাপি সমস্যা বৃদ্ধি পাবে। ফলে ব্যাংকিং খাতেও চাপ সৃষ্টি হবে।
  • সামাজিক অস্থিরতা: বেকারত্ব বাড়া, আয় কমে যাওয়া ইত্যাদির ফলে রাজ্যে সামাজিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *